Aguli 20-01-2023: রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের নিরিখে মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির পাশে রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনেও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। কারণ বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার উন্নয়নে বিশ্বাস করে এবং মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে। আর নির্বাচনের মুখে বিরোধী দলের অশুভ মিতালিকে অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করবে এই রাজ্যের মানুষ। শুক্রবার টাউন বড়দোয়ালী কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মসূচিতে গিয়ে এভাবেই বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
গত ১৮ জানুয়ারি উত্তর পূর্বের তিনটি রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই শুরু হয় বাড়ি বাড়ি প্রচার কর্মসূচি। প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক বিজেপি, বিরোধী কংগ্রেস – সিপিএম সহ অন্যান্য দলগুলি। মোট কথায় ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক প্রচারের ময়দানে ঝাঁপিয়েছে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল। অবশ্য নির্বাচন ঘোষণার অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচারের কাজ শুরু করে দিয়েছে শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টি। ২৩ বিধানসভা ভোটের অংশ হিসেবে গত ১৮ ডিসেম্বর একদিনের ঝটিকা কর্মসূচিতে আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে এসে বক্তব্য রেখে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর জনবিশ্বাস রথযাত্রায় সামিল হতে রাজ্যে উড়ে এসেছেন কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যে এসে তিনি ধর্মনগর এবং সাব্রুমে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রেখেছেন। পরবর্তীতে জনবিশ্বাস রথযাত্রার সমাপ্তি কর্মসূচিতে রাজ্যে আসেন ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। এভাবে ভোটকে সামনে রেখে দফায় দফায় রাজ্যে আসেন ভাজপার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই জনসংযোগ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। সরকারি এবং দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এরআগেও নিজ বিধানসভা কেন্দ্র ৮ টাউন বড়দোয়ালী বিধানসভা এলাকায় বিভিন্ন সময়ে পা রাখেন তিনি। আর নির্বাচনকে সামনে রেখে জনসংযোগ কর্মসূচিতে ব্যতিক্রম হল না তাঁর। শুক্রবার চতুর্থ দফায় ফের একবার নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে বাড়ি বাড়ি প্রচারে নেমে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন এই বিধানসভা কেন্দ্রের ১৮নং বুথ এলাকায় জনসম্পর্ক অভিযানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রচারে সামিল হন মুখ্যমন্ত্রী। ভারতীয় জনতা পার্টির প্রায় ৫ বছরের কাজের নিরিখে তৈরি করা লিফলেট তুলে দেন গনদেবতার হাতে। প্রচার কর্মসূচির মাঝখানে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন এই জনসংযোগ কর্মসূচিতে মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মিলছে। কারণ ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার উন্নয়নে বিশ্বাস করে। আর উন্নয়নের নিরিখেই সকল মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে বিজেপি। তাই সরকারের স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গির জন্য প্রত্যেক মানুষই খুশী। এজন্য আগামী দিনেও রাজ্যের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকলেই ভারতীয় জনতা পার্টিকে ফের একবার ক্ষমতায় চাইছেন। এর পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়েও রাজ্যবাসী সরকারের উপর সন্তুষ্ট। যে কারণে শুধুমাত্র জয় নয়, আরো বেশী আসন নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি জয়ী হবে বলেও প্রবল আশাবাদ ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা মোতাবেক আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তায় ভোট গ্রহণ করা হবে। এরপর ২ মার্চ হবে ভোট গণনা। এবারের নির্বাচন জিরো ভায়োলেন্স করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। এজন্য ইতিমধ্যে রাজ্যে এসে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা।