Aguli 11-01-23: “আমি লিডার না, ক্যাডার। আমি বিজেপি’র ক্যাডার, আমিও তোমাদের মতোই ক্যাডার”। আমি তোমাদের মধ্যেই থাকতে চাই– ২৮ তেলিয়ামুড়া মন্ডল আয়োজিত বিজয় সংকল্প সমাবেশে দাঁড়িয়ে এমনটাই বার্তা দিলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। বুধবার পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী তেলিয়ামুড়া চিত্রাঙ্গদা কলা কেন্দ্র তথা টাউন হলের মাঠ প্রাঙ্গণে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এক সুবিশাল বিজয় সংকল্প সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ভারতের বিশিষ্ট চিত্রতারকা অর্থাৎ বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী’র উপস্থিতিতে বিজেপি দলের উদ্যোগে। এদিনের এই সংকল্প সমাবেশে মিঠুন চক্রবর্তী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা তথা রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, বিজেপি প্রদেশ সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত সহ একঝাঁক বিজেপি দলের নেতা নেত্রী’রা।
মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী’র উপস্থিতিতে তেলিয়ামুড়া চিত্রাঙ্গদা কলা কেন্দ্রের মাঠ ছিল জন প্লাবনে প্লাবিত। এদিনের এই সংকল্প সমাবেশ’কে কেন্দ্র করে সমাবেশে উপস্থিত দলীয় কার্যকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজনেদের মধ্যে ব্যাপক উৎচ্ছাস পরিলক্ষিত হয়।
এদিন তেলিয়ামুড়ার বিজয় সংকল্প সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন,,, করোনা যদি হয় অ্যান্টিবায়োটিক খেলেও ভালো হওয়া যায়, কিন্তু কমিউনিস্ট যদি আক্রান্ত করে সেই কমিউনিস্টের ভাইরাস সারা ভারতবর্ষকে আক্রান্ত করবে।
২৫ বছর কমিউনিস্টের ভাইরাসের ভয়াবহতা গোটা ত্রিপুরার মানুষজন দেখেছে, কিন্তু ২০১৮’র বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উন্নয়নমুখী বিজেপি সরকার।
অন্যদিকে এদিনের এই সংকল্প সমাবেশে উপস্থিত জন ঢলকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী বলেন,,, পূর্বেও একবার যখন বাম আমলে ত্রিপুরায় মিঠুন চক্রবর্তী এসেছিলেন সেই সময়কার ত্রিপুরা এবং বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার অভূতপূর্ব উন্নয়ন দেখে তিনি ত্রিপুরার বর্তমান বিজেপি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। তাছাড়া তিনি এদিনের এই সংকল্প সমাবেশ থেকে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন,, ভবিষ্যতেও তিনি যখন আবার ত্রিপুরায় আসবেন সেই সময়েও যেন ত্রিপুরা রাজ্যে এই উন্নয়ন মুখী বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত থাকে।
তবে যাই হোক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল মনে করছে আজকের তেলিয়ামুড়ার এই জনঢল তেলিয়ামুড়া বিধানসভার সঙ্গে রাজ্যের জন্য বিজেপি দলের শুভ ইঙ্গিত বয়ে আনছে।