আগরতলা, ফেব্রুয়ারী ২৪: সকলের সহযোগিতা নিয়ে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এমবিবিএস কোর্সে পঠন-পাঠন শুরু হয়ে যাবে প্রস্তাবিত ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। এমনই প্রত্যয়ের কথা উঠে এলো শুক্রবার মেডিকেল কলেজের আলোচনা সভা থেকে।
শুক্রবার মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে মানব কল্যাণ ও বিশ্ব শান্তির জন্য মহা শান্তি যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল। এই উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় অংশ নেন উপস্থিত অতিথিরা। মাত্র তিন মাসের মধ্যে যেভাবে ত্রিপুরার শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে তাতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সকলে। রেকর্ড কালীন সময়ের মধ্যে এই পরিকাঠামো সফল নির্মাণ দেখে এটা নিশ্চিত যে এবছর থেকেই পঠন-পাঠন শুরু হয়ে যাবে।
নিউ দিল্লীর স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের চেয়ারম্যান পদ্মশ্রী ডাঃ ডি. এস. রানা বলেন, “প্রত্যন্ত এলাকায় যে ভাবে এই অত্যাধুনিক কলেজ গড়ে উঠছে – তা অবিশ্বাস্য। এই কলেজ শুধু দেশের নয়, সারা বিশ্বে সুনাম অর্জন করবে- আমি নিশ্চিত।”
স্যার গঙ্গারাম হসপিটালের ডাঃ সুরেশ কুমার সিংহভি ইতিমধ্যেই স্বেচ্ছায় প্রতিমাসে একদিন করে এই হাসপাতালে বিনামূল্যে ওপিডি পরিষেবা দেবার প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়েছেন।
জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সিকিম সরকারের প্রধান আর্থিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডঃ মহেন্দ্র প্রসাদ লামা দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও নীতি আয়োগের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
নেপালের বিশিষ্ট শিল্পপতি ও বাতাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডঃ আনন্দ রাজ বাতাস বলেন, “এখানে পঠন-পাঠন শুরু হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই কলেজের উন্নতিতে আমরা প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করা হবে।”
কলেজের সভাপতি মলয় পীট জানান যে, যোগীরাজ শ্রী শ্রী ১০০৮ কৃষ্ণানন্দ স্বামী বাবা কালিদাস মহারাজের পরামর্শ ও পরিচালনাতেই এই কলেজ আগামী দিনে পরিচালিত হবে।
তাঁর ভাষণে যোগীরাজ শ্রী শ্রী ১০০৮ কৃষ্ণানন্দ স্বামী বাবা কালিদাস মহারাজ বলেন, “সুস্থতার জন্য স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিষেবা খুবই প্রয়োজন। এখানে এখন মেডিকেল কলেজ হচ্ছে, পরে নার্সিং কলেজ শুরু হবে। সকলে শিক্ষার আলো পাবে। সুচিকিৎসা পাবে। রাজ্য সরকার, কেন্দ্র সরকার সহ সকলকে এই কাজে সহযোগিতা করা উচিত। আমি আজীবন এই কলেজের সাথে থাকবো।”
মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে কলেজ চত্বরে আজ একটি শ্রী শ্রী শিব মন্দির ও মঠের শিলান্যাস করা হয়। আগামী এক বছরের মধ্যেই এই কাজ শেষ হবে বলে জানা গেছে।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমতী অনিতা রানা (সহধর্মিণী, ডাঃ ডি. এস. রানা, চেয়ারম্যান, স্যার গঙ্গারাম হসপিটাল, নিউ দিল্লী), অশিন বাতাস (কন্যা, ডাঃ আনন্দ রাজ বাতাস, নেপাল), অধ্যাপক ড: মহেশ রঞ্জন দেবতা (অধ্যাপক, জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়, নিউ দিল্লী), শ্রী রোহিত মাথুর (ডিরেক্টর, ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স), শ্রী রাজেন্দ্র প্রসাদ পাঠক (প্রবীণ সাংবাদিক ও বরিষ্ঠ আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট), আচার্য শ্রী ডঃ সুরজ কুমার পাঠক (অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও উপদেষ্টা, ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল) সহ আরো অনেকে।