Aguli 11-01-23: সময়ের প্রয়োজনে প্রযুক্তির পাশাপাশি মানুষের জীবন যাত্রার ধরনেও এসেছে বিশাল পরিবর্তন। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত আয়ের লোকজনদের মধ্যে বেড়েছে শহরে স্বাচ্ছন্দ জীবন যাত্রার স্বপ্ন। তাঁদের এই স্বপ্ন পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে সরকারি তত্ত্বাবধানে নির্মিত বহুতল ভবন । আজ আগরতলা নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্সস্থিত শ্যামলিমা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে ( B+G+14) তলা মালিকানা ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এবং গুর্খাবস্তিতে বহুতল রাজ্য প্রশাসনিক ভবনের শুভ ভূমি পূজন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বলেন বর্তমান সময়ে নিরাপত্তার দিক দিয়েও ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকা অনেকটা নিরাপদ।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর দিশা নির্দেশনায় রাজ্যে বর্তমান সরকারের সময়ে বিরাট উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ সাধিত হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় সড়কের উন্নয়ন উল্লেখযোগ্য । তিনি বলেন, রাস্তা আমাদের ভবিষ্যতের রাস্তা দেখায় । আগামী ভবিষ্যতের জন্য নতুন আরো অনেক পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শহর এবং গ্রামে গরিব অংশের মানুষদের নিজস্ব পাকা আবাস দিতে যেমন সরকার বিরাট ভূমিকা পালন করছে, পাশাপাশি মধ্যবিত্ত আয় এর নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ জীবনযাত্রায় সহায়ক ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে বহুতল ভবন নির্মিত হচ্ছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এই ( B+G+14) তলা মালিকানা ফ্ল্যাটের পরিকল্পনা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে পরিকল্পিত বহুতল ফ্ল্যাটে যারা আবাসিক হিসেবে আসবেন, তাঁদের সাথে এই কমপ্লেক্স এলাকায় অন্যান্য ফ্ল্যাটের আবাসিকদের সঙ্গে একটা উন্নত সংস্কৃতি পরিমণ্ডল তৈরি হবে, যা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার অন্যতম শর্ত । বিশুদ্ধ পানীয় জল পরিষেবার স্বার্থে, নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্সস্থিত শ্যামলিমা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স এলাকায় একটি আয়রন রিমুভার প্লান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলেও তিনি জানান।
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, মুখ্য সচিব জে কে সিনহা, পূর্ত দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা হাউসিং এন্ড কনস্ট্রাকশন বোর্ডের মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক সঞ্চয়িতা দাস, পূর্ত দপ্ততরের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বাস্তুকার অনুপ কুমার দাস, ইপিআইএল এর জেনারেল ম্যানেজার মুকেশ ঠাকুর প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরা হাউজিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্সস্থিত শ্যামলিমা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে যে ( B+G+14) তলা মালিকানা ফ্ল্যাট নির্মিত হচ্ছে তার আনুমানিক প্রোজেক্ট বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৮০ কোটি টাকা । এতে থাকবে ১৪০টি ফ্ল্যাট। থাকতে উন্নত ইলেকট্রিক সিস্টেম, সিসি ক্যামেরার সুবিধা । এছাড়াও ওঠানামার জন্য থাকবে তিনটি লিফ্ট ইত্যাদি। এই ভবনটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫। এদিকে গুর্খাবস্তিতে বহুতল রাজ্য প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণে আনুমানিক বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১২৬ কোটি টাকা। রাজ্য পূর্ত দপ্তরের তত্ত্বাবধানে নির্মীয়মান এই বহুতল প্রশাসনিক ভবনে থাকবে ইলেকট্রিক সিস্টেম, সিসিটিভি সিস্টেম, ডাটা নেটওয়ার্কিং সিস্টেম, অ্যাকসেস কন্ট্রোল সিস্টেম, ফায়ার এলার্ম এবং পাবলিক অ্যাড্রেসিং সিস্টেম সহ আরো কিছু। সবচাইতে উল্লেখযোগ্য এতে ৬৫ থেকে ৮০ কিলোওয়াট সোলার পাওয়ার জেনারেশন সিস্টেমও থাকবে । ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এই ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ।