আগরতলা, ১০ জানুয়ারি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্থা রয়েছে আমজনতার। দেশকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি দেশের হিতসাধনে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে এগিয়ে চলছে ত্রিপুরাও। সরকারের কাজে মানুষও খুব খুশি। মানুষের স্বার্থে কাজ করার জন্য আগামী দিনে আরো বেশী সংখ্যায় ভোট নিয়ে এই রাজ্যে ক্ষমতাসীন হবে ভারতীয় জনতা পার্টি। ৬০টি বিধানসভার মধ্যে ৫০টির অধিক আসনে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হবেন। মঙ্গলবার নিজ বিধানসভা কেন্দ্র ৮ টাউন বড়দোয়ালী এলাকায় ডোর টু ডোর প্রচারে বেরিয়ে এই দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
দোরগোড়ায় ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচন।
ভোট গ্রহণের দিনক্ষণ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো ঘোষণা না হলেও ভোট যে আর হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন সেবিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই ভোটের চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ২০২৩ এর মহারণকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে যে যার কায়দায় ময়দানে নেমে পড়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি। শাসক দলের পাশাপাশি শক্তির মহড়ায় নেমেছে বিরোধী শিবিরও। যদিও রাজ্য রাজনীতির সার্বিক আবহে অন্যান্য দলের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে শাসক ভারতীয় জনতা পার্টি। ২০১৮ সালে দীর্ঘ বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার গঠনের পরই বিকাশের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে ত্রিপুরা। কৃষকদের কল্যাণেই হোক কিংবা সাধারণ মানুষের স্বার্থে উন্নয়নমূলক কাজ হোক সবেতেই বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না হতেই নিজ বিধানসভা ক্ষেত্র বড়দোয়ালী এলাকায় জনসংযোগ শুরু করে দিলেন ২০২৩ নির্বাচনের ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম মুখ মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। মঙ্গলবার নিয়ে পরপর দুদিন ডোর টু ডোর বা বাড়ি বাড়ি প্রচারে নামলেন তিনি। শীতের তীব্রতাকে উপেক্ষা করেই এদিন সকাল সকাল দলীয় কার্যকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে আগরতলা পুর নিগমের ২৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচারে যান মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন এলাকার মানুষের সঙ্গে। সেই সাথে এলাকার বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সাফল্যের খতিয়ান। জেনে নেন এলাকার মানুষের বিভিন্ন সমস্যা এবং সুখ দুঃখের বিষয়। আশ্বাস দেন সরকারিভাবে যা যা করা সম্ভব করে দেওয়ার। মুখ্যমন্ত্রীকে চোখের সামনে পেয়ে এলাকাবাসীও মন খুলে কথা বলেন এদিন।
পরবর্তী সময়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ এই সরকারের কাজকর্মে খুবই খুশি। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত চেহারা দেখেই এটা প্রতীয়মান হয়ে যায়। বিজেপি দল শুধু আধ্যাত্মিকতা নয়, সেবার কাজেও বিশ্বাসী। অন্যদল রাজনীতির জন্য রাজনীতি করে। তাই সমস্ত দিক দিক দিয়ে মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি আস্থাশীল রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যোগ্য নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। তিনি সবসময় মানুষের জন্য কাজ করেন, মানুষের জন্য চিন্তাভাবনা করেন। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রদানের লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন তিনি। পানীয়জল থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর বন্টন, পিএম কিষাণ নিধি সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন মানুষ। মানুষের জন্য কাজ করছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত দিশায় মানুষের জন্য কাজ করছে ত্রিপুরা সরকারও। সরকারের কাজে মানুষও খুশি। আগামী নির্বাচনে রাজ্যের ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৫০টির অধিক আসনে জয়ী হবেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীরা। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ২০১৮ সালে দীর্ঘ বাম শাসন থেকে মুক্ত করার জন্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী তথা নেডার চেয়ারম্যান হিমন্ত বিশ্বশর্মার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তখনকার এবং বর্তমান সময়ের উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করে তিনি খুব খুশী বলেও জানান ডাঃ মানিক সাহা।