Aguli 16-08-2022 (Teliamura):দেশদ্রোহী মামলায় আদালতে বিচারাধীন এক অভিযুক্তের নাম ভাঙ্গিয়ে জনাকয়েক ব্যাক্তিবর্গ পুস্তক বিক্রির নামে সাধারণ মানুষজনের পকেট কাটছে। এমন অভিযোগ গত কয়েকদিন ধরেই আসছিল সংবাদমাধ্যমের কাছে। অবশেষে মঙ্গলবার সাধারণ মানুষজনের অভিযোগ সহ দেশদ্রোহী মামলায় আদতে বিচারাধীন অভিযুক্তের নাম ভাঙ্গিয়ে পুস্তক বিক্রি করা জনাকয়েক ব্যাক্তিবর্গের চিত্র প্রকাশ্যে এলো মঙ্গলবার।
অভিযোগ মূলে জানা যায়,, তেলিয়ামুড়া শহরে “ধর্মের গ্রন্থ” ও “জ্ঞান গঙ্গা” বলে দুইটি পুস্তক বিক্রি করছে জনা কয়েক ব্যাক্তিবর্গ, কুড়ি টাকার বিনিময়ে। যার সম্পাদক হিসেবে নাম রয়েছে রাম পাল জী মহারাজ নামে এক ব্যাক্তির। তখন তেলিয়ামুড়ার এক যুবকের যখন পুস্তক বিক্রি করতে যায় তখন সেই যুবক পুস্তক ক্রয় করার পূর্বে পুস্তকের উপর সম্পাদকের নাম হিসেবে লেখা রামপাল জি মহারাজের নামে বিশদ তথ্য জানার জন্য ইউটিউবে সার্চ করে। তখন দেখতে পায় রামপাল জি মহারাজ নামে ওই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও রয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে প্রতারণা ও দেশদ্রোহী মামলায় আদালতে বিচারাধীন অভিযুক্ত হিসেবে গারদে রয়েছে ওই পুস্তকের সম্পাদনার দায়িত্বে থাকা রামপাল জি মহারাজ। এবং রামপাল জি মহারাজ নামের ওই ব্যাক্তি ভন্ড ও প্রতারক। উনি মানুষকে ধর্মের নামে বোকা বানিয়ে পুস্তক বিক্রির নাম করে কামিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা এমনটাই অভিযোগ তেলিয়ামুড়ার যুবক অরিন্দম লাহিড়ি। সে গুগলে সার্চ করে আরো দেখতে পায় ধর্মের নাম করে মানুষকে বোকা বানানোর অপরাধে উনার আশ্রম ও নাকি সরকারি আদেশ মূলে সিল করে দেওয়া হয়েছে। এরপরেও উনার নাম করে একাংশ ভন্ডরা তেলিয়ামুড়ায় এসে পুস্তক বিক্রি করছে।
এ বিষয়ে পুস্তক বিক্রি করতে আসা এক ব্যাক্তির নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান,, রামপাল জি মহারাজের বিরুদ্ধে মামলা চলছে,তাই তিনি বর্তমানে জেলে রয়েছেন। দেশদ্রোহী মামলায় যে রাম পাল জি মহারাজ বলে ওই ভন্ড জেলে রয়েছে তা পুস্তক বিক্রি করতে আসা ওই ব্যাক্তি নিজ মুখেই স্বীকার করেন। তাছাড়া তিনি জানিয়েছেন বিগত এক বছর ধরে তেলিয়ামুড়া চাকমা ঘাটে একটি মন্দিরও না কি ঘরে তোলা হয়েছে।
তবে যাই হোক, শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন মহল মনে করছে ঐ সকল ভন্ডদের কবলে আমজনতা যেন ধর্মের নামে তাদের বশবর্তী না হয় । তবে হয়তোবা কিছুটা হলেও ওই সকল প্রতারকদের হাত থেকে আমজনতা নিজেদের পকেট কাটার থেকে রেহাই পাবে।