Bishalgarh 09 Feb, 2024: পশ্চিম জেলার মুখ্যমন্ত্রীর সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান (মাসকা) ৬.০ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় বেলাবর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিদায়িকা মিনারানী সরকার ও পশ্চিম জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা সভাধিপতি হরিল দুলাল আচার্য ও দায়িত্বপ্রাপ্ত পশ্চিম জেলার CMO সহ অন্যান্যরাঅভিযানের সময়সীমা ৯ ই ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত। ৯ ই ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার, টেকনিক্যাল কলেজ এ সমস্ত জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী সুস্থা শৈশব সুস্থ কিশোর অভিযানের কর্মসূচি চলবে।১৪ ই ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বাড়ি বাড়ি, ইটভাট্টা, চা বাগান, আরবান বস্তি, প্রাইভেট কোচিং ইনস্টিটিউশন ইত্যাদি জায়গাগুলোতে।১৯শে ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্পেশাল গ্রাম সভা অনুষ্ঠিত হবে সেখানে মাতৃদুগ্ধ পান এর উপযোগিতা সম্পর্কে সচেতন করা হবে এবং কিশোরীদের যাতে বিবাহ না হয় সে বিষয়ে প্রচার প্রসার করাহবে।
মুখ্যমন্ত্রীর সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযানের পঞ্চম পর্যায়ে গোটা রাজ্যের মধ্যে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা সাফল্যের সঙ্গে সর্বোচ্চ এচিভমেন্ট আনতে পেরেছে বলে এ রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাকে কেট পারফর্মিং জেলা হিসেবে সার্টিফিকেট দিয়ে সম্মানিত করেছেন। ৮ ই ফেব্রুয়ারি বিশালগড়ে অনুষ্ঠিত হওয়া রাজ্যভিত্তিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই সম্মান অর্পণ করা হয়েছে।মাসকা প্রোগ্রামের সুবিধাভোগী: শূন্য থেকে উনিশ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু, কিশোর কিশোরী সকলেই এই প্রোগ্রামের সুবিধাভোগী।
এই কর্মসূচিতে যে সুবিধা গুলো বা বেনিফিট গুলো সুবিধাভোগীদের পৌঁছানো হবে সেগুলো হচ্ছে 1) কুমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো, 2) আয়রন ফলিক এসিডের পরিপুরক প্রদান করা 3) টিটেনাস ডিপথেরিয়া টিকা ১০ বছর এবং ১৬ বছরের কিশোর কিশোরীদের দেওয়া 4) ভিটামিন A এর পরিপূরক ডোজ দেওয়া, 5) পাঁচ বছরের নিচে সকল শিশুদের একটি করে ওআরএস প্রদান করা সহ ডায়রিয়াতে আক্রান্ত বাচ্চাদের ওআরএস এবং জিংক প্রদান করা। এছাড়া ছোট শিশুরা ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত কিনা সেটা নিরূপণ করা হবে এবং আক্রান্ত বাচ্চাদের রেফার করা হবে।আশারা বাড়ি বাড়ি ভিজিট এর সময় ৪৫ দিনের নিচের বয়সের বাচ্চাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে, তাদেরকোন ধরনের সমস্যা আছে কিনা সেটা যাচাই করবে এবং ১৫ মাসের নিচের বয়সের বাচ্চাদের কারোর কোন সমস্যা আছে কিনা সেটা নিরূপণ করবে এবং প্রয়োজন ভিত্তিতে তাদের রেফার করবে।এই সময় মিজেলস- রুবেলা এবং পোলিও রোগের কোন ধরনের লক্ষণ কারুর মধ্যে থাকলে তাদের নাম- নথিভূক্ত করে তাদের স্যাম্পল কালেকশনের ব্যবস্থাও করা হবে।
এই কর্মসূচিতে যারা মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন: স্কুলগুলোতে- শিক্ষক-শিক্ষিকা, অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে অঙ্গনওয়াড়ি দিদি মনি, কমিউনিটিতে আশা দিদি মনিরা। চা বাগান, ইটভাট্টা, কলেজ, প্রাইভেট ইনস্টিটিউট -এ সমস্ত জায়গাতে এ এন এম (ANM), এমপি ডাব্লিউ (MPW) এবং সি এইচ ও (CHO) মূলত কাজগুলোকেসম্পন্ন করবেন।
কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা: 269388 জনকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে, 64413 জন শিশুকে আয়রন ফলিক এসিডের সিরাপ প্রদান করা হবে, 65731 জন শিশুকে গোলাপি রঙের আয়রন ফলিক এসিডের ট্যাবলেট দেওয়া হবে, 117702 জন শিশুকে নীল রঙের আয়রন ফলিক এসিড ট্যাবলেট প্রদান করা লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। পোষণ অভিযানের অন্তর্গত 60857 জন শিশুকে ওজন এবং বৃদ্ধি পরিমাপ করে পোষণ ট্রেকারে এন্ট্রি দেওয়া হবে,63766 জন শিশুকে ওআরএস প্রদান করা হবে, 7286 জন শিশুকে TD 10, 7135 জন শিশুকে ID ১৬ টিকাকরণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। 1440 জন আশা কর্মী 1754 জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এই কাজে নিযুক্ত থাকবেন। 625 সংখ্যক গভর্নমেন্ট স্কুলে, 188 সংখ্যক প্রাইভেট স্কুলে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
প্রশিক্ষণ প্রদান কর্মসূচিকে সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি PHC,CHC, UPHC থেকে আগত নোডাল অফিসারদের জেলা অফিসে প্রশিক্ষণ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে নোডাল অফিসাররা নিজ নিজ এলাকার সমস্ত স্কুলের একজন নোডাল্ টিচারকে প্রশিক্ষিত করেছেন, সকল আশা দিদিদের প্রশিক্ষিত করেছেন,সকল অঙ্গনওয়াড়ি দিদিদের প্রশিক্ষিত করেছেন সকল এমপি ডাব্লিউ (MPW) সি এইচ ও (CHO) MPS দের প্রশিক্ষিত করে এই কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে।