আগরতলা, ২৪ জানুয়ারি : মানুষকে খুন করে মৃতদেহের উপর দিয়ে অনেক রাজনীতি হয়েছে, বামগ্রেস এখন তা আবার শুরু করতে চাইছে। কিন্তু আমরা তা বরদাস্ত করবো না। আজ সকালে দুষ্কৃতীদের হাতে প্রাণঘাতী আক্রমণে গুরতর ভাবে আহত ৯ বনমালীপুর মন্ডলের তপশিলি জাতি মোর্চার সভাপতি সুমন দাসকে জিবিপি হাসপাতালে দেখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বলেন, খুন-সন্ত্রাসের রাজনীতি ত্রিপুরার মানুষ আগেও দেখেছে, এখন আবার কংগ্রেসি গুন্ডারা তাদের নতুন বন্ধু সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে আবার শুরু করতে চাইছে। তাকে রুখতে নির্বাচন কমিশনকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
একজন ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জন হিসেবে আহত সুমন দাসের আঘাতের গভীরতা কতটুকু তা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। যেভাবে তার ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে তা বর্বরোচিত বলে উল্লেখ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগেও কংগ্রেস-সিপিএম মিলে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলাকে অবনতি করার চেস্টা করেছে । নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনো সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তিনি বলেন, রাজ্যের মানুষ সন্ত্রাস থেকে নিস্তার চেয়েছে ।
২০১৮ সালে সেই নিস্তার মিলেছে। এখন তারা আবার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা কে অবনতি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে, পুলিশকে এর বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার পরামর্শ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন ভারতীয় জনতা পার্টির সক্রিয় কার্যকর্তা সুমন দাসের উপর যারা প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে তাদের মধ্যে ৪-৫ জনের নামধাম সহ পুলিশে এফআইআর করা হয়েছে, অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান রাখেন। তবে তিনি দুষ্কৃতকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “কাউকেই ছাড়া হবে না”।
উল্লেখ, বিজেপির ৯ বনমালীপুর মন্ডলের তপশিলি জাতি মোর্চার সভাপতি সুমন দাস মঙ্গলবার সকালে প্রাতঃভ্রমনে বের হলে, কিছু দুষ্কৃতিকারী তার ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালায়। তাঁর আঘাত অত্যন্ত গুরুতর। বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। প্রাণঘাতী এই আক্রমণের ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা ছুটে যান জিবিপি হাসপাতালে, সেখানে গিয়ে নিজে তার আঘাতের গভীরতা পরীক্ষা করেন । কথা বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। মুখমন্ডল এবং মাথার আঘাতের বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন নিউরো সার্জন ডাঃ সিদ্ধা রেড্ডীর সঙ্গে। তিনি আহত সুমন দাসের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন । এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী, প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, সদর শহর জেলা সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা।
AGULI STAFF DESK